রামগঞ্জে অপারেশন করার পর রোগীর শরীরে গজ-কটন রেখেই রোগীকে রিলিজ দিলেন উপজেলার পৌর শহরস্থ রামগঞ্জ ফেমাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুন উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের আনেয়ারা বেগম পাইলস অপারেশন করানোর জন্য ডা.শফিকুল ইসলামের অধিনে ভর্তি হন। পরে সন্ধায় ডাঃ শফিক অপারেশন করেন। একদিন ভর্তি থাকার পর শুক্রবার আনোয়ারাকে রিলিজ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাড়ি যাওয়ার পর থেকে হালকা ব্যাথা করতে থাকে।পরে আস্তে আস্তে ব্যাথা বাড়তে থাকে। রাত ৯টার দিকে ডাক্তারের পরামর্শ মত সাপসিটারি দেয়ার চেষ্টা করলেও তা দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে রোগীর ব্যাথা বাড়তে থাকে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে নার্স রোগীর বাসায় গিয়ে রোগীর পায়ুপথের ভিতর থেকে কয়েক দফায় গজ-কটন বের করে রোগীকে সাপসিটারি দিয়ে দেন।
ডাক্তারের অবহেলা ও হাসপাতালের উদাসীনতার কারনে হয়তো এ যাত্রায় বেঁছে গেলেন আনোয়ারা বেগম। এছাড়াও ফেমাস হাসপাতালে চিকিৎসার নামে মানুষকে নিঃস্ব করার মত অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে উপজেলাব্যাপী।
রোগী আনোয়ারা বেগম এর জামাতা পশ্চিম আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম সামছুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় আসার পর আমার শাশুড়ির ব্যাথা বাড়তে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শমত ব্যাথানাশক সাপসিটারি দিতে গেলে তা দেয়া যায়নি।
বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইউসুফ কাঞ্চনকে মোবাইলে জানালে তিনি বলেন তিনি বাইরে আছেন হাসপাতালে আসলে বিয়টি পরে দেখবেন। পরে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা, সাবেক মেয়র বেলাল আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানালে নার্স এসে কয়েক দফায় গজ-কটন বের করে দেন।
এ ব্যাপারে জানতে ডা.শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক ইউসুফ কাঞ্চন বলেন,ঘটানাটি জানার পর আমি দ্রুত নার্স পাটিয়ে গজ-কটন বের করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার গুণময় পোদ্দার বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।